প্রকাশিত: Wed, May 29, 2024 11:56 AM
আপডেট: Mon, Jun 23, 2025 4:11 AM

[১]কলকাতার সঞ্জীভ গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংকে মিললো মরদেহের টুকরো, ধারণা করা হচ্ছে এমপি আনারের

মাসুদ আলম: [২] মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি সেই ফ্ল্যাটের কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন এবং সেপটিক ট্যাংক ভেঙে উদ্ধার অভিযান চালায়। এরপর  সেপটিক ট্যাংক থেকে এসব মাংস উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মাংসের পরিমাণ প্রায় ৪ কেজি। 

[৩] ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, উদ্ধার করা খণ্ডিত অংশগুলো সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহের কি না, ডিএনএ টেস্টের পর তা জানা যাবে।

[৪.১] এর আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি এবং তদন্তকারী কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। প্রথমে তারা যে খালটির কথা বলেছিলেন, সেখানে বেশ কিছুদিন ধরে সার্চ করেছেন। মঙ্গলবারও সার্চ করছেন। 

[৪.২] মরদেহের অংশবিশেষ না পাওয়া গেলেও মামলা নিষ্পত্তিতে কোনো সমস্যা হবে না। দুই বাংলার পুলিশের হাতে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। আনার হত্যার গুরুত্বপূর্ণ ঘাতক আমাদের কাছে আছে। সঙ্গে যে মেয়েটা ছিল সেও আমাদের কাছে আছে জিহাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। আমরা প্রায় সব তথ্যের মিল পেয়েছি।

[৫]  এদিকে পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি জানায়, মরদেহের অংশগুলো কসাই জিহাদ ওয়াশরুমের কমোডে ফেলে দিয়েছিল বলে আগেই স্বীকার করেছিল।

[৬] তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমপি আনারকে খুন করে তার মাংস টয়লেটে ফ্ল্যাশ করে দেয়া হয়। এরপর সেটি পাইপ দিয়ে সেপটিক ট্যাংকে গিয়ে জমা হয়। 

[৭] মঙ্গলবার  আনার হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে ঢাকার ডিবির টিম। এ সময় সঞ্জীভ গার্ডেন্সের সেই ফ্ল্যাটে নেওয়া হয় কলকাতায় গ্রেপ্তার কসাই জিহাদ হাওলাদারকে। অনলাইনে বসিয়ে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিনজনকে ভিডিও কলে যুক্ত করে জিহাদের সঙ্গে সামনাসামনি জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এরপরই  সঞ্জীভ গার্ডেনের ভেতরের একটি জলাশয়, কমোড, স্যুয়ারেজ লাইন ও সেফটি ট্যাংকের তল্লাাশি চালানো হয়। 

[৮] মরদেহের খণ্ডিত অংশের সন্ধ্যানে নিউটাউনের হাতিশালা খালসহ কয়েকটি স্থানে তল্লাশি চালায় কলকাতা সিআইডি। এসময় সঙ্গে ছিলো ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব